আমতলীতে নৌকার সমর্থন করায় গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

এই ছবিটি প্রতিকীবরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সমর্থনে উঠান বৈঠক করায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা ডা. এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামীকেও মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠকের আয়োজন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা ডা. এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী বকুল বেগম ও চাচা শানু ফকিরকে মারধর করেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর তারিকাটা গ্রামে এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি জাকির হাওলাদারকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আড়পাঙ্গশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামের আবুল কালাম প্যাদার বাড়িতে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সমর্থনে নৌকার প্রতীকের উঠান বৈঠক ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বরগুনা জেলা মহিলা লীগ সভাপতি মাধবী দেবনাথসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওই বাড়িতে নৌকার সমর্থনে বৈঠক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপি নেতা ডা. এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার সহযোগীরা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বকুল বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষায় চাচা শানু ফকির এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে আবুল কালাম প্যাদা বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জাকির হাওলাদারকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে।

আবুল কালাম প্যাদা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থনে আমার বাড়িতে উঠান বৈঠক করায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপি নেতা ডা. এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন। পরে তারা আমার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান জাফর বিশ্বাস বলেন, ওই উঠান বৈঠকটি আমার সভাপতিত্বে হয়েছে। ওই বাড়িতে সভা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী বকুল বেগম ও তার চাচা শানু ফকিরকে বিএনপি নেতারা মারধর করেছে।

আমতলী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা আকতার জোছনা বলেন, ওই বৈঠকে আমিও উপস্থিত ছিলাম। পরে শুনেছি বৈঠকের কারণে বিএনপি নেতারা আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রীকে মারধর করেছে।

বিএনপি নেতা ডা. এমএ খালেক নিজাম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে মারধর হয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থনে উঠান বৈঠকের কারণে কোনো মারধর করা হয়নি।

আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।(সূত্রঃ যুগান্তর)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২০ ডিসেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)