বরগুনার পাথরঘাটায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে অর্ধশতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

---
বরগুনার পাথরঘাটা ইউএনও মো. হুমায়ন কবিরের হস্তক্ষেপে প্রায় অর্ধশতাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। রক্ষা পাওয়া শিশু শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে সুন্দর জীবন।
গড়ার স্বপ্ন দেখছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে হুমায়ুন কবির উপজেলা নির্বাহী হিসেবে পাথরঘাটায় যোগদান করেন। তার যোগদানের পূর্বে মাদক, ইউটিজিং, বাল্য বিয়েসহ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল নাজুক। বখাটের ভয়ে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে যেমনি ভয় পেত। ফলে বাল্য বিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছিলা। ২০১৭ সালে বাল্য বিয়ের কারণে ৫০ জন শিক্ষার্থী জেএসসি, জেডিসি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এছাড়া বাল্য বিয়ের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদসহ
নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা ভয়াবহ বেড়েছিল বলে এলাকাবাসী জানান।

বরগুনার পাথরঘাটায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে অর্ধশতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ
ইউএনও হুমায়ুন কবির যোগদানের পর বাল্য বিবাহ নিরোধ, মাদক নির্মল ও ইভটিজিং বন্ধসহ অপরাধ দমনে কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়াও শিক্ষার মান-উন্নয়নেও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় ইউএনওর
তিনি পাথরঘাটায় যোগদান করার পরে উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানীর মো. জামালের মেয়ে রুমি আক্তার(১৭) কাঠালতলীর মো. মিজানুর রহমানের মেয়ে মোসা, খাদিজাতুননেছা। (১৪) কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপদোন গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে শারমিন আক্তার (১৭) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের মো. আশ্রাব আলীর মেয়ে মোসাকারিমা (১৫) একই ইউনিয়নের বড় টেংরা গ্রামের জাফুর মল্লিকের মেয়ে মোসা, নফিজা আক্তার (১৫) চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়ীয়া গ্রামের
আ, খালেক এর মেয়ে মোসা, তামরা আক্তার (১৫) একই গ্রামের মো. হানিফার মেয়ে আমেনা খাতুন (১৫) পূর্ব কালমেঘা গ্রামের মো. খলিল এর মেয়ে মোসা, হিরা ।
আক্তার (১৫)সহ প্রায় অর্ধশতাধিক বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।

এছাড়াও তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধের ব্যাপারে বিবাহ রেজিস্ট্রার (কাজীদের) প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে অপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়েদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করলে তার শাস্তি সম্পর্কে ধারণা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে ধারণা
জনপ্রতিনিধি ও মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের কুফুলা এবং বাল্য বিয়ের আইন সম্পর্কে সচেতন করা, গণমাধ্যমকর্মীদের সভার মাধ্যমে বাল্য
বিয়ের সকলা বিষয়ে অবহিত করে ব্যাপকভাবে প্রচার করাসহ বহুবিধ কর্মসূচি গ্রহণ। করেছেন। এ সকল কর্মসূচি ও যথাযথভাবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায়ই শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে সমাজের ভয়াবহ ব্যাধি বাল্য বিবাহ। শিক্ষার মানউন্নয়নে ২০১৭ উপজেলার এসএসসি পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্যমে উপজেলা প্রশাসন গোল্ড মেডেল প্রতিযোগিতা চালু করেন।

উপজেলার প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাছাই পরীক্ষায় যারা ১ম, ২য় ও ৩য় হয়েছে তাদের নিয়ে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সনে উপজেলা
পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রশ্নপত্রে একটি পরীক্ষা নিয়ে আফসারদের করা।
সমন্বয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন জেলা প্রশাসক, বরগুনার মাধ্যমে। মেধা অন্বেষণ গোল্ড মেডেল প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর আয়োজন করে প্রথম স্থান।
অধিকারীকে গোল্ড মেডেল, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে রৌপ্য মেডেল এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ব্রোঞ্জ মেডেল প্রদান করা। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, নাচনাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হোসেন, বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা।
জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার, পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
হুমায়ুন কবির এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে প্রায়ই বন্ধ। তারা বলেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার কোন স্থানে বাল্য বিবাহসহ কোন অপরাধের কথা।
শুনলেই স্বশরীরে যথাস্থানে গিয়ে উপস্থিত হন ও অপরাধ দমন করেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)