নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো বন্ধু’ তিশা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮

নুসরাত ইমরোজ তিশা
সেলফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা হওয়ায় দু-এক কথার পর পরই কল কেটে যাচ্ছিল। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা টকিজকে শুধু এতটুকু বললেন, ‘শুটিং করছি। অনেক দূরে, নেটওয়ার্কে সমস্যা। আগামীকাল (গতকাল) সকালে কথা বলি?’ কী আর করা, অগত্যা পরের দিনই তিশার মুখোমুখি হয় টকিজ। তিশা তখন ফুরফুরে মেজাজে, আর সেলফোনের নেটওয়ার্ক?

তাও দারুণ পরিষ্কার। সুতরাং আলাপ শুরু হলো নির্দ্বিধায়—

শুরুতেই তিশার কাছে জানতে চাওয়া হয়,আগের দিন নাটক নাকি গোপনে কোনোছবির শুটিং করছিলেন?
হাসতে হাসতে তিশার উত্তর: না গোপনে কোনো ছবির শুটিং করছি না। আসছে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি নাটকের শুটিং করছিলাম। নাটকটির নাম এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি। এ নাটকে আমার চরিত্রের নাম মেঘ। আর কিছু বলব না, বাকিটা বৈশাখী আমেজে টিভি পর্দায় দেখে নিতে হবে।

(দ্বিতীয় প্রশ্নেই প্রসঙ্গের পরিবর্তন করে তিশার সিনেমার রাজ্যে প্রবেশ)

সম্প্রতি ‘হলুদবনি’ সিনেমার শুটিং শেষকরলেন, ছবিটি নিয়ে বলুন—
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিটি একটি বাড়ি ও কিছু চরিত্রকে নিয়ে এগিয়ে চলে। আমি, ওপার বাংলার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর পাউলি দাম এতে অভিনয় করেছি।

আপনার চরিত্র?
চরিত্রটি নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারব না। ছবিটি সাধারণ একটি মেয়ের গল্প। সে তার বাড়িটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, তার সঙ্গে বাড়িটার সম্পর্ক রয়েছে। একপর্যায়ে পরমের সঙ্গেও তার সম্পর্ক হয় এবং সম্পর্কগুলোকে বাঁচাতে যতটুকু চেষ্টা করতে হয়, তা-ই মেয়েটি করে।

আপনি অভিনয় করছেন নির্মাতা মোস্তফাসরয়ার ফারুকী পরিচালিত নতুন ছবিস্যাটারডে আফটারনুনে। এ নিয়ে বলুন—
ছবিটির শুটিং ও ডাবিং শেষ হয়েছে। বাকিটা নির্মাতা, প্রযোজকের হাতে, তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের কোনো কথা বলা বারণ। তার চেয়ে বরং জানিয়ে দেই নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জয়া আহসানসহ আরো কয়েকজনঅভিনেত্রী ভারতে নিয়মিত অভিনয়করছেন। আপনার কি সে রকম অভিপ্রায়আছে?
আমাদের এখানকার শিল্পীরা অন্য দেশে কাজ করছেন, প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন, এতে আমার গর্ব হয়। তবে আমি যেহেতু ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে কখনই এগোই না, সেহেতু এখনো জানি না ভারতের ছবিতে নিয়মিত কাজ করব কিনা। তবে অবশ্যই দেশ ছেড়ে বাইরে গিয়ে কাজ করব না। দেশে থেকে যতটুকু কাজ করা যায়, সেটুকুই করব। বলতে পারেন, দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না, এখানকার কাজই আমার অগ্রাধিকার। দেশের কাজ ঠিক রেখেই বাইরে যতটুকু কাজ করা যায়, করব। ভালো কিছু কাজ করতে চাই, সেটা যৌথ প্রযোজনার হতে পারে, আলাদা আলাদা দেশেরও হতে পারে।

অল্প সময়ের ব্যবধানে ‘ডুব’ ও ‘হালদা’ছবিতে অভিনয় করলেন। এরপর আবার‘স্যাটারডে আফটারনুন’-এ শুটিং শেষ করেফেলেছেন। প্রতিটি ছবির গল্প কিন্তু গত্বাঁধানয়। এত অল্প সময়ে নিজেকে কীভাবেচরিত্রগুলোর মধ্যে প্রবেশ করালেন—
আমি ভাগ্যবান যে, নির্মাতারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। চরিত্রের মধ্যে ঢোকার জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। অভিনয় কেমন করতে পেরেছি, কতটুকু উতরে যেতে পেরেছি তাও জানি না। তবে যদি সফল হয়েছি বলে রায় দেন দর্শক, তাহলে তার সব কৃতিত্বই নির্মাতাদের। কারণ তারা আমাকে বোঝাতে পেরেছেন এবং কাজ করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিতে দীর্ঘদিনধরে অভিনয় করছেন। দীর্ঘ এ সময়ে নির্মাতাও অভিনেত্রীর সম্পর্কটা কতটা এগোল?
নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। তবে ফারুকীর সঙ্গে আমি যখন প্রথম ‘পারাপার স্টোর’ বা ‘সিক্সটি নাইন’-এ কাজ করি, তখন সেটে যেমন তিনি আমার ডিরেক্টর ছিলেন, এখনো তিনি আমার ডিরেক্টর। সোজা কথায়, সেটে গেলে নির্মাতা-শিল্পীর সম্পর্কই থাকে। সেটে সে আমার নির্মাতা আর আমি তার আর্টিস্ট।

দুদিন বাদেই ‘নারী দিবস’। নারীদেরউত্সাহিত করতে কী বলতে চান?
অন্য নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কারণ যার ওপর দিয়ে কোনো ঘটনা ঘটে, সেই বোঝে পরিস্থিতি। তাছাড়া জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তো নারীদের বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়, সেজন্য তাকে বুঝতে হলে তার সামগ্রিক পারিপার্শ্বিকতা বুঝতে হবে। আমাকে যদি এক কথায় বলতে বলা হয় তাহলে বলব,
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো বন্ধু। নিজের ওপর বিশ্বাস আর ধৈর্য রাখতে পারলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়।
এ এম বি। পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)