পাথরঘাটায় দুটি মাথাসহ ৫মন হরিণের মাংস উদ্ধার, ট্রলার জব্দ (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ১৮ মে ২০১৯ | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ১৮ মে ২০১৯

জব্দ হরিণের মাথা ও মাংসবঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় ৫মন হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করা হয়। আজ শনিবার (১৮ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে এগুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রলার কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদারের।

বিট কর্মকর্তা পাথরঘাটা নিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিল, রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকাবাসী টের পেয়ে ট্রলারের কাছে যাওয়া মাত্রই ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করেলে তাৎক্ষনিক পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে দুটি চামড়া, দুটি মাথা থাকলেও প্রায় ৫মন হরিণের মাংসসহ ৩০টি রান পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে ৮টি জীবিত হরিণ জবাই করা হয়েছিল।

বিট কর্মকর্তা আরো জানান, কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নত। ওই ট্রলারটি আব্দুর রহমান সিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিৎ করেছেন। দুই বস্তা হরিণ ধরা ফাঁদসহ ট্রলারটি বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের নিদের্শনা পেলে মাংসগুলো মাটি চাপা দেয়া হবে। বন্য প্রানী সংরক্ষন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কর্মান্ডার সাবলেফটেন্যান্ট জহুরুল ইসলাম পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই সরেজমিনে যাই। মাংসসহ জব্দকৃত ট্রলারটি কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবার আব্দুর রহমান সিকদারের বলে তিনি জানান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)