পথহারা বন্যপ্রানী পাথরঘাটায় সঙ্গী খুজছে হনুমান ও চিত্রল হরিন (ভিডিও সহ)
একটি বন্য চিত্রল হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছিল টেংরা বেড়ি বাধের বাইরে নদীরতীরে। মানুষের অবস্থান টের পেয়ে আত্মগোপন করে নিকটবতী একটি জংগলে । ওই জংগলের মধ্যে যদিও হরিণের আবাস নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগ।
অপরদিকে একটি মূখপোড়া হনুমান প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে পাথরঘাটা উপজেলার বিভন্ন গ্রামে ঘুরে ফিরে আজ শুক্রবার শহরের বিভিন্ন আবাসনের ছোট গাছ পালায় কসরত দেখাচ্ছে। শিশু কিশোরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
টেংরা গ্রামের মো. আবদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রুহিতা চরে ধানশী ঘাস কাটার সময় নদীরধারে একটি হরিণ দেখতে পায়। মানুষের অবস্থার টেরে পেয়ে দ্রুত টেংরা বনে ঢুকে যায়। এ বনটিতে ইতিপূর্বে কখনো হরিণ দেখা যায়নি তবে মানুষের চলাচল বিদ্যমান বলে জানালেন একাধিক গ্রামবাসী।
অপরদিকে একটি মুখপোড়া হনুমান এক সপ্তাহ যাবত পাথরঘাটা উপজেলার রুহতা, টেংরাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এখন পৌর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হনুমানের আগমনে এ দৃশ্য দেখতে উৎসুক এলাকাবাসী ভিড় জমিয়েছে। হনুমানটি কখনো গাছে আবার কখনো মাটিতে বিচরণ করছে। কেউ কেউ দূর থেকে খাদ্যদ্রব্য ছুড়ে দিলে খেয়ে সাবাড় করছে। তবে কোথা থেকে এ বন্যপ্রানীটি এসেছে কেউ বলতে পারছেনা।
বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবাসিক এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোট গাছের ডালে বসে থাককলে শিশুরা কলা বিস্কুট সহ বিভিন্ন খাবার দিচ্ছে।
সমাজকর্মী ৮ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, এতদাঞ্চলে এ ধরনের জন্তু দেখা যায় না।
পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, হরিণটি নিকটবর্তী হরিণঘাটা বন থেকে তাড়া খেয়ে বা সঙ্গী হারিয়ে এখন পথহারা। অপরদিকে হনুমান এ এলাকার বন্য প্রানী নয়। সেও কোন ভাবে তার সঙ্গীদের হারিয়ে এখন পথহারা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাকে ধরে তার জন্য স্বাচ্ছ্যন্দময় স্থানে ফেরত পাঠান প্রায় অসম্ভব।
