পাথরঘাটায় জাল চুরিকে কেন্দ্র করে মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা আহত ১৩ আটক ৫ (ভিডিও)

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ৯ মে ২০২০ | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ৯ মে ২০২০


চরদুয়ানি প্রতিনিধি.
বরগুনার পাথরঘাটায় মাছ ধরার জাল চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদের মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় একলাস, জাফর ও জাকির বিশ্বাস। এতে দুই নারীসহ ১৩ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।

শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মুসুল্লী বাড়ির জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটেছে।

মসজিদের মুসল্লি লোকমান হোসেন জানান, হানিফা নামের এক জেলে বৃহস্পতিবার রাতে বিলে মাছ ধরার জন্য জাল পাতে। ওই জাল একলাস হাওলাদার এবং জাফর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে উঠে। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে হানিফ এবং একলাসের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে শুক্রবার রাতে হানিফা মসজিদে নামাজ পরতে গেলে একলাস ও জাফর মিলে জলদস্যু জাকির বিশ্বাসকে নিয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া অবস্থায় হানিফাকে মারধর করে । এসময় মুসল্লিরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে তারা।

আহতরা হলেন, হানিফা, ইলিয়াচ মুন্সী, ছোবাহান, রাসেদ মুন্সী, রাসেল হাওলাদার, সাব্বির, এমাদুল, রাসেল, মুসা, মজিবর, নবী হোসেন, আম্বিয়া ও শাহেনুর।এদের মধ্যে গুরুতর রাসেল এবং ছাব্বিরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জাকির বিশ্বাস সাগরের একজন নিয়মিত জলদস্যু বাহিনীর ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করত। র‌্যাবের তালিকায় তার নাম রয়েছে। সাগরে জলদস্যুতা বন্ধ হওয়ার পর সে এলাকায় সন্ত্রাসী চাদাঁবাজি করছেন। তিনি আরো জানান, এলাকার ছোট বড় এমন কেউ নেই যে তার নির্যাতনের শিকার হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় জাকির বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় একাধীক অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান মাছধরার জাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় (শনিবার) সকালে দক্ষিন চরদুয়ানী গ্রামের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করে লোকজন ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এবং পরিস্থিতি নিয়ান্ত্রনে রাখার জন্য উভয় পক্ষের ৫ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)