প্রস্ততি শেষ রাত পোহালেই পাথরঘাটার চার ইউপিতে ভোট

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৮ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১

তৃতীয় ধাপে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে কাল সকাল ৮টা থেকে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহন করা হবে । অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সব প্রস্ততি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাথরঘাটা সদর, নাচনাপাড়া, রায়হানপুর ও চরদুয়ানি এই চারটি ইউনিয়নের ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহন করা হবে। শনিবার বিকেলেই ভোটবাক্স ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সামগ্রি কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে পাথরঘাটা সদরে মোট ভোটার সংখ্যা ২১৫৮৮। নারী ১০৭৬০ ও পুরুষ ১০৮২৮। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিক নিয়ে আলমগীর হোসেন, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র আসাদুজ্জামান ( আনারস) ও স্বতন্ত্রের আদলে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা (ঘোড়া) ও হাতপাখা প্রতীকের হাফিজুর রহমান।

রায়হানপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২৫৮২। মহিলা ৬৪৮৫ ও পুরুষ ৬০৯৭। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাইনুল ইসলাম (নৌকা) ও শহিদুল ইসলাম (হাতপাখা) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৮৩১। মহিলা ৪৯৯০ ও পুরুষ ৪৮৪১। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফরিদ মিয়া (নৌকা) ও হাতপাখা প্রতিক নিয়ে আতিকুর রহমান সালু।

এছাড়া চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুর রহমান জুয়েল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। ওই ইউনিয়নে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৬৮৬। মহিলা ৯২২২ ও পুরুষ ৯৪৬৪ ভোটার রয়েছেন।

চারটি ইউনিয়নে মোট ৬২ হাজার ৬’শো ৮৭ জন ভোটারের জন্য ৩৬ টি ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইউব আলী হাওলাদার।

এদিকে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য

নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের লক্ষে বিভিন্ন দিক-নিদের্শনা দিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরগুনা সদর মোহাম্মদ মহরম আলী।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইউব আলী হাওলাদার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বর্ডার গার্ড‌ বাংলাদেশ (বিজিবি) দায়িত্ব পালন করবে। ‌ তিনি বলেন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন আমরা সবই গ্রহণ করেছি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)