দাদির বিরুদ্ধে শিশু চুরির মামলা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৮

দাদির বিরুদ্ধে শিশু চুরির মামলা
ফরিদপুরে আড়াই বছর বয়সী আবরার নামে এক শিশুকে তার দাদি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের হাবেলী গোপালপুর মহল্লায়।

শিশু সন্তানকে উদ্ধার করার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই শিশুর মা।

আবরার নামে শিশুটির মা লুবনা ইয়াসমিন জানান, তার শ্বাশুড়ি সালেহা বেগম (৬৫) ঢাকায় ননদের বাড়িতে থাকেন। ফরিদপুরে এসে গত সোমবার রাতে আবরারকে নিয়ে পাশের ননদের ঘরে শুতে যান শাশুড়ি। পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে ননদের ঘরে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। এসময় ফোন করলে সালেহা বেগম তাকে জানান, আবরারকে নিয়ে তিনি ঢাকায় রওনা হয়ে গেছেন। বর্তমানে তারা ঢাকার রমনায় মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

কি কারণে এই শিশুকে এভাবে মা-বাবার অজান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে লুবনা বলেন, আমার ননদের কোন ছেলে সন্তান নাই। ননদের কোলে তুলে দিতেই বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে গেছেন তিনি।

লুবনা ইয়াসমিনের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন (৪৩) শহরের হাবেলী গোপালপুরের মৃত তোজাম্মেল হোসেনের একমাত্র পুত্র। রোকসানা হোসেন তনু (৪১) নামে তার আরেক বোন রয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু আবরারকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সালেহা বেগম বলেন, বাচ্চাকে প্রতিপালন করার মতো যোগ্যতা ওদের নেই। বাচ্চাটি এ্যালার্জিতে ভুগছে। কিন্তু তারা তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে ফেলে রেখেছে। শিশুটিকে ওরা মেরে ফেলবে।

ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার ছেলে তার জীবন নষ্ট করেছে। এখন আমার নাতির জীবনও ধ্বংস করতে চাইছে। এজন্য নাতিকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। নাতিকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরত দেওয়ার কথা প্রথমে বললেও পরে তিনি বলেন, আমি আমার নাতিকে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়িয়ে তারপর হাফেজ বানাবো।

এদিকে মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি বাচ্চার চিকিৎসা করছিলাম তার ট্রিটমেন্টের সকল কাগজপত্র রয়েছে। মা ও বোনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমার বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। ঢাকায় ওনাদের বাড়িতে নিয়মিত ঝগড়া হয়। আমি আমার শিশু সন্তানকে আমার কাছে ফেরত চাই।

এব্যাপারে জানতে কোতয়ালী থানার ওসি এএফএম নাসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কোতয়ালী থানার একজন পুলিশ অফিসারকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)