বামনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের চাল বিক্রির অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের চাল বিক্রির অভিযোগবামনা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের দুপুরের খাবার প্রকল্প মিড-ডে মিলের চাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার পশ্চিম গোলাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এ চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিক্রিকৃত ৫০ কেজির এক বস্তা চাল সোমবার রাতে রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামের মো. ওহাব আলী বেপারীর ঘর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহারের নির্দেশে রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার উদ্ধার করে। এ সময় মিড-ডে মিলের প্রকল্প কর্মকর্তা আ. আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

মিড-ডে মিলের বাস্তবায়ন সংস্থা কর্তৃক জানা গেছে, বামনা উপজেলার ২০১৩ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের প্রকল্প কার্যক্রম চালু করে। প্রকল্পটি সুশিলন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা বাস্তবায়ন করে আসছে। সোমবার বিকেলে পশ্চিম গোলাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের পরে বিদ্যালয়ে নেওয়ার পথে সংশ্লিস্ট প্রধান শিক্ষক ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চাল টেম্পু চালক মো. জসীমের কাছে এক হাজার টাকায় বিক্রয় করে দেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে অভিবাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়। ঘটনাটি বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ওই চাল উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

চেয়ারম্যান প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ওহাব বেপারীর বাড়ি থেকে ওই চাল উদ্ধার করে রামনা ইউনিয়ন পরিষদে জমা রাখেন। চাল উদ্ধারের পরে সংশ্লিস্টরা ওই বিদ্যালয়ের গুদাম পরিদর্শন করেন এবং সেখানে এক বস্তা চাল কম পান।

প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয়ের শিশুদের মিড-ডে মিলের চাল বিক্রয় অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন কর্তৃক বিক্রিয়কৃত চাল ক্রেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রেখেছি। আজ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয় ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি এবং বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের শিশুদের মিড ডে মিলের চাল বিক্রয়ের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানর মাধ্যমে চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বামনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অম্বরিশ চন্দ্র সরকার বলেন, পশ্চিম গোলাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন কর্তৃক চাল বিক্রিয় এবং উদ্ধারের বিষয় আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলে জন্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।(কালের কন্ঠ)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ সেপ্টেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)