“ওসি হানিফ সিকদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ” ২৩ গরুসহ ২ চোরের মুক্তি, রস চোরের ঠাই কারাগারে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ | আপডেট: ০৮:১৯ এএম, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯

ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ২৩ গরুসহ ২ চোরের মুক্তি, রস চোরর ঠাই কারাগারে
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় মিথ্যা গরু চুরি মামলা সাজিয়ে হয়রানী এবং ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৩ গরুসহ ২ চোরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে পাথরঘাটা থানা ওসি মো. হানিফ শিকদারের বিরুদ্ধে।সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা প্রেসকাবে রনজিৎ চন্দ্র হাওলাদার লিখিত সংবাদ সম্মেলনের এ অভিযোগ করেন।

রনজিৎ চন্দ্র অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত কয়েকদিন ধরে গ্রামে গরু চুরি হয়। মিথ্যা গরু চুরির অপরাধে ২১ জানুয়ারি রনজিতের ভাই রমেন, বাদল ও সাদ্দামকে আটক করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। পুর্ব শত্র“তার জের ধরে স্থানীয় বিটুল, লাভলু, মিলন ও শ্যামল রনজিতের ভাই রমেন হাওলাদার, প্রতিবেশি বাদল ও সাদ্দামকে পুলিশের সাথে যোগশাযোষ করে গরু চুরি মামলায় আসামী করে জেল হাজতে পাঠায়।
ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ২৩ গরুসহ ২ চোরের মুক্তি, রস চোরর ঠাই কারাগারে
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তার ভাইসহ ৩জনকে অহেতুক ভাবে আটক করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। তারা এখনো জেলে রয়েছে। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি রাতে পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া সড়ক থেকে যশোর ড-১১-০২৪৪ ন¤¦রের ট্রাকভর্তি চুরি যাওয়া ২৩টি গরুসহ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আঠুন্ডা গ্রামের আলমগীর মোড়ল ও পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের মিলন আহম্মেদকে হাতেনাতে আটক করলেও তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় ওসি হানিফ শিকদার। এছাড়া একই গ্রামের চুরি যাওয়া ১০টি গরুর মালিক সোহরাবের স্ত্রী মোসা. সালমা বেগম অভিযোগ করেন, ৫ লাখ টাকার বিনিময় ওসি হানিফ শিকদার ট্রাকসহ আটক ২ চোরকে ছেড়ে দেয়। ওই সময় ২৩টি গরুর মধ্যে একই গ্রামের মোসা. সীমা বেগমের একটি গরু চিহ্নিত করার পরে পুলিশ গরু ছেড়ে দেয়। তার আরও ২টি গরু পায়নি।
ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ২৩ গরুসহ ২ চোরের মুক্তি, রস চোরর ঠাই কারাগারে
এদিকে ১৯ জানুয়ারি রাতে নিজলঠিমারা গ্রামের আ. রহিম, নাজমুল হাসান ও আউয়াল তিন বন্ধু মিলে পিকনিক খাওয়ার জন্য প্রতিবেশীদের খেজুর গাছ থেকে রস নামাতে গিয়ে এলাকার লোকজনের টের পেয়ে পাশেই গরুর ঘরে ঢুকে পড়লে স্থানীয়রা গরু চুরির দায়ে আটক করে পুলিশের হাতে দেয়। ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী রিফাত নামে এক যবুককে বাদি করে গরু চুরির মামলা নেয় পুলিশ। পরে ৪দিন জেল হাজত খেটে মুক্তি পায় তারা। আ. রহিমের ভাই নাদিম বলেন, আমার ভাইকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করার পরে থানায় গিয়ে ওসিকে অনুরোধ করলে আমাকে পৌর কাউন্সিলর মোছাফেফর হোসেন বাবুলের সামনেই অহেতুক ৮ থেকে ১০টি চর-থাপ্পর পারে এবং মাটিতে ফেলে পা দিয়ে গলা চেপে ধরে।

টাকা নেয়ার অভিযোগ সম্পুর্ণ অস¦ীকার করে পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হানিফ শিকদার বলেন, গরু ক্রয়ের মেমো দেখানোর পরেই গরুসহ আটকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিজলাঠিমারা গ্রামের ৩ বন্ধুকে গরু চুরির অপরাধে এলাকাবাসি পুলিশে সোপর্দ করে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)