পাথরঘাটায় আসামীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বাদীকে হয়রানীর অভিযোগ এসআই জলিলের বিরুদ্ধে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বরগুনার পাথরঘাটায় মামলার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বাদী ফিরোজা বেগমকে হয়রানী ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এসআই মো. জলিলের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের বাদী ফিরোজা বেগম হয়রানীর অভিযোগ সাংবাদিকদের বলেন। অপদিকে মামলার আসামী জামালের কাছ থেকেও ঘুষ নিয়েছেন ওই এসআই।

হাওয়া বেগম জানান, গত নভেম্বর মাসে জামার হাওলাদার জানান আমার নামে কিছু জমি লিখে দিবে এবং একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। ওই কাগজটি দিয়ে স্থানীয় লিটন কাউন্সিলরের মাধ্যমে আমাকে তালাক দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে ৫০হাজার টাকা দিবে। এর কিছুদিন পর থেকে ফের জামাল আমার সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জরিয়ে পরে। আমি জামাল হাওলাদারকে বিয়ের কথা বললে সে তার ভাড়া বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে উঠতে বলে এবং কোন জামেলা হলে সে মিট করে নিবে। এসময় আমার মা পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আমার কোন খোঁজ না নিয়ে উল্টো ভিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

এবিষয়ে হাওয়ার মা ফিরোজা বেগম জানান, আমি থানায় অভিযোগ করার পরে দারগা আমার সামনে বসে ৬০ হাজার টাকার চুক্তি করে। পরে ওই দারোগা ৫০ হাজার টাকায় রাজি হয়ে আমার সামনেই রাজি হয়ে টাকা নেয়। এর একদিন পরেই আমার মেয়েকে ঘর মালিকের ছেলে মাহামুদ, স্থাণীয় ব্যাবসায়ী দুলাল খান ও তার বোন ফাতিমা ওই বাসায় গিয়ে প্রথমে আমাকে থাপ্পর দেয়। এসময় আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলে তার কোলে থাকা আড়াই বছরের মেয়ে জান্নাতিকে আছার দেয় ও একটি চ্যারা দিয়ে হাওয়াকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে রেখে চলে যায় তারা। এসময় দারোগা জলিলের কাছে ফোন দিলেও সে হেসে বলে আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছে? এর প্রায় দুই ঘন্টা পরে অন্য পুলিশ এসে হাওয়াকে রিকসায় করে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।

জামাল জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম লিটনের মাধ্যমে তার স্ত্রী হাওয়া বেগমের সাথে কিছুদিন আগে তালাক হয়। সম্প্রতি সে তার ভারাটিয়া ঘরের তালা ভেঙ্গে উঠলে ওই ঘরের মালিকে ছেলে মাহামুদসহ কিছু ভারাটিয়া সন্ত্রসী ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের এসআই জলিলকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তার স্ত্রী হাওয়াকে ঘরে থেকে বের করে দিতে বলে।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক খোকন কর্মকার, কাজী রাকিব ও এএসএম জসিম গিয়ে দেখেন হাওয়া বেগম আতœহত্যার জন্য সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না যুলিয়ে রেখেছেন। সে সময় তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আতœহত্যা করুন তার পরে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠাবো।

এবিষয়ে অভিযুক্ত পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জলিল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। উল্টো আমাকে দা নিয়ে দাওয়া করেন। আপনি তাদের দেয়া অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা আপনাকে কেন দাওয়া করবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, এরকম কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)