বরগুনার বমনায় ছাত্রলীগের নেতাকে সুভাষ হাওলাদারের লোক বলে বেধড়ক মারধর

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১১:৩৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বরগুনার বমনায় ছাত্রলীগের নেতাকে সুভাষ হাওলাদারের লোক বলে বেধড়ক মারধর
বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম লিটনকে সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার এর লোক বলে বেধড়ক মারধর করলো যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা ৩০ মিনিটে বামনা উপজেলার গোল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে শহিদুল ইসলাম আলোর দেশকে জানান, “আমি শহিদুল ইসলাম লিটন। সভাপতি রামনা ইউনিয়ন ছাএলীগ। পিতা- সোহরাফ হোসেন, গ্রাম-পোস্ট- খোলপটুয়া। গত কাল রাত ১২টা ১ মিনিটের সময় বামনা উপজেলা শহীদ মিনারে ফুল দিয় আসার পথে রাত ১২টা ৩০ মিনিটের সময় গোল চত্বর বসে যুবলীগের সভাপতি জনাব সাইফুল ইসলাম সরওয়ার আমার হাত ধরেন। পেছন থেকে অতর্কিতভাবে ১০/১২ জন লোক আমাকে মারতে শুরু করে। তারা হল সাকিব সিকদার, বিপ্লব কুমার সুমন, মুনিম তালুকদার, আমাকে মারে আর বলে সুভাসের লোক পাচঁ বছরে বামনাতে আসবিনা। আমার মাথায় ও কানে প্রচন্ড আঘাত লাগে। ত্ররপর ছাএলীগের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসে প্রাথমিক চিকিৎসা করে। পরে ডাঃ আমাকে বরিশাল সদরে চিকিৎসার জন্য রেফার করে ”।

স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি. সরোয়ার কে নির্দেশ দিয়েছে, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার এর কোন লোক ৫ বছর বামনা উঠতে পারবে না। এমন তথ্যও জানান শহিদুল ইসলাম।

উল্লেক্ষ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জনাব সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসনে (বামনা-বেতাগী-পাথরঘাটা) নৌকা মার্কার মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পছন্দের মানুষও। কিন্তু এ আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে সাবেক সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন এবারও এমপি হন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)