বরগুনায় স্ত্রীর মামলায় কারাগারে থাকা স্বামীর মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯

ছবিঃ সংগ্রহীতবরগুনা পারিবারিক আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জেল হাজতে থাকা অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে দিনমজুর স্বামী আ. রাজ্জাক (২৩) এর মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বামনা উপজেলার দক্ষিন রামনা গ্রামের মো. তৈয়ুব আলীর ছেলে।

বুধবার ( ১০ জুলাই) ভোর চারটায় বরগুনা জেলা কারাগারের ভিতরে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়াবন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ ।

নিহতের পারিবার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানাগেছে, গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরীরত অবস্থায় নিহত আ. রাজ্জাকের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. সুলতান হোসেন এর মেয়ে হাওয়া বেগমের(১৯) বিবাহ হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী আ. রাজ্জাক তার স্ত্রী হাওয়া বেগমকে চট্টগ্রামে রেখে একাই দেশের বাড়িতে চলে আসে। পরে স্ত্রী হাওয়া বেগম ও তার স্বামীর বাড়ীতে চলে আসে। কিন্তু তাদের পারিবারিক কলহ চরম পর্যায়ে পৌছালে স্ত্রী তার বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। সেখানে থাকা অবস্থায় সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে মামলা দায়ের করে। আদলতের বিচারক ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার স্বামীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু স্বামী আ. রাজ্জাক ওই রায় মেনে না নিয়ে স্ত্রীর সাথে সকল প্রকার যোগযোগ বন্ধ রাখে। পরে গত ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে স্ত্রী হাওয়া বেগম বরগুনা জুডিমিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর কার্যালয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত স্বামীকে তিন লাখ টাকার ডিগ্রী দিয়ে ওয়ারেন্ট এর আদেশ দেন। বামনা থানা পুলিশ তাকে গত ১২ জুন গ্রেফতার করে বরগুনা আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে তিনমাসের কারাদন্ড দেয়। ২৮ দিন জেল হাজতে থাকা অবস্থায় আজ ভোর চারটার সময় সে মারা যায়।

বরগুনা জেলা কারা তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আসামী আ. রাজ্জাক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সে বুধবার ভোর চারটার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযায়। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)