পাথরঘাটায় তুবা হত্যা মামলায় মা-ছেলে কারাগারে
বরগুনার পাথরঘাটায় তুইবা তুবাকে (১৮) আত্নহত্যা প্রোরচনা দেয়ার মামলার প্রধান আসামী সজিব (২০) ও তার মা মোসা. মাজেদা বেগমকে (৪০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক প্রনব কুমার হুই তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
তুইবা তুবা পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্য গুদামের পশ্চিম পাশের আজাদ হোসেন সেন্টুর ছোট মেয়ে।
সজিব পাথরঘাটা উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে ও মোসা. মাজেদা বেগম আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ মৃত তুবাকে ২ নম্বর আসামী মাজেদ বেগম তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ১ নম্বর আসামী সজিবের কথা বলে অকথ্য ভাষায় গামন্দ করেন এবং চুল ধরে মারধর করেন। এর পরের দিন আবারো তুবার বাড়ির উঠানে এসে সবার সামনে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন এবং বলেন, তুই তোর বাবার সাথে গিয়ে ঘুমা তা না পারলে গলায় দড়ি দিয়ে মরো না কেন। এই কথা সুনে লজ্জা ও ঘৃনায় সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না গলায় পেচিয়ে আতত্নহত্যা করেন। পরে একই বছরের ২৫ অক্টোবর পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে তুইবা তুবার মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে মো. সজিব, মাজেদা বেগম ও আলমগীর হোসেনকে আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম মল্লীক জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বুরো আব-ইনবেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে যে আসামি পক্ষ তুবাকে (১৮) প্রোরোচনা দেয়ায় সে আতত্নহত্যা করেছে। আজকের সেই মামলার দার্যদিনে আসামীদের আদালত সমন জারি করলে আসামী পক্ষ জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। বিজ্ঞআদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।