পাথরঘাটায় আড়াই বছরের শিশুকে ছুরে ফেলে দিলেন শ্রমিক লীগ নেতা মাহমুদ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

আড়াই বছরের শিশুকে ছুরে ফেলে দিলেন শ্রমিক লীগ নেতা মাহমুদতালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী স্বামীর সংসার করতে তার বাড়িতে ডুকলে ওই ভারাটিয়া ঘরের মালিক মতিউর রহমানের ছেলে মাহমুদ হাওয়া বেগমকে (২২) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হাওয়া বেগমের আড়াই বছরের কন্যা শিশু জান্নাতিকে (২.৫) কোল থেকে টেনে ছুরে মাটিতে ছেলে দেয় মাহমুদ।

এঘটনায় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬টার দিকে মা ও মেয়ে জান্নাতিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন। বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন পাথরঘাটা থানা পুলিশের ওসি শাহাবুদ্দিন।

হাওয়া বেগম উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মিস্ত্রির স্ত্রী ও সরদ ইউনিয়নের হরিণঘটাা গ্রামের মো. ফারুক দফাদারের মেয়ে।

হাওয়া বেগম জানান, স্বামীর সাথে আমার তালাক হওয়ার পর থেকেই সে আমার সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করে ফের বিয়ে করে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে কয়েক দফায় শারিরীক সম্পর্ক করতে থাকে। এক পর্যায় আমাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে গেলে আমি বিয়ের কথা বলি। সে সময় জামাল আমাকে ঘরের তালা ভেঙ্গে উঠতে বললে আমি ঘরে গিয়ে থাকতে শুরু করি। তার একদি পরেই ঘর মালিকে ছেলে মাহমুদ, দুলাল খান ও তার বোন ফাতিমা আমার ঘরে ঢুকে প্রথমে বৃদ্ধ মাকে মারধর শুরু করে। পরে আমি বাধাঁ দিলে আমার কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু জান্নাতিকে টেনে ছুরে ফেলে দেয় মাহমুদ। মেয়েকে ধরতে গেলে গাছের চ্যারা দিয়ে পিটিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে ফেলে।

হাওয়া বেগমের মা ফিরোজা বেগম জানান, জামালের কাছ থেকে গত নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই জামাল বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শুরু করে। এক পর্যায় আমি বাড়ি না থাকায় মেয়েকে বিয়ের কথা বলে পাথরঘাটা বাজারে নিয়ে আসলে সেখান থেকে তার বাড়িতে নিয়ে পূর্ণরায় নির্যাতন শুরু করে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়েকে জামালের বাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। এবিষয়ে বৃহস্পতিকার পাথরঘাটা থানা অভিযোগ করেছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাওয়া বেগম আমার ভারা দেয়া ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশের কারন জানতে চাইলে তারা উল্টো আমাদের উপর হামলার চেস্টা করে। পরে সামাল দিতে পুলিশকে অবহিত করেছি।

পাথরঘাটা থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, এঘটনায় হাওয়ার মা ফিরোজা বেগম তার মেয়েকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে শুক্রবার রাতের মারধরের ঘটনার এখনো লিখিতো কোন অভিযোগ আসেনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)