সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকনের জন্মদিন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ১ মার্চ ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজসাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকনের জন্মদিন আজ। ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ বরগুনার পাথরঘাটায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। সৃজনশীল লেখার অধিকারী শফিকুল ইসলাম খোকনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাথরঘাটায়। খোকনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি মুক্তিযুদ্ধ’র মুখপত্র পত্রিকা দৈনিক দেশবাংলা থেকে।

বর্তমান তিনি বহুল প্রচারিত জাতীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার পাথরঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেব কর্মরত আছেন। এর আগে ২০০১ সাল ড.ফেরদৌস আহমদ কোরেয়েসির সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধর মুখপত্র দৈনিক দেশবাংলা থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর থেকে এক সময় প্রভাবশালী দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ডেসটিনি, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক বর্তমান, দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিন ছাড়াও একাধিক জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদশের জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পোর্টাল ও আর্জাতিক গণমাধ্যম উসম্পাদকীয় লিখছেন। লিখছেন প্রবন্ধ, রচনা, ছড়া।

শফিকুল ইসলাম খোকন সাংবাদিকতা ছাড়াও গবেষনা করেছেন ‘স্থানীয় সরকার বিষয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়। ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষনাধর্মী লেখায় তৃতীয় ¯স্থান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখায় সপ্তম ¯স্থান সম্মাননায় ভুষিত হন। তিনি ২০১০ সাল উপকূলীয় জনগোষ্ঠি অধিকার আদায়ে বিশেষ অবদান রাখায় উপকূলীয় সাংবাদিকতা সম্মাননা পুরস্কার ও ২০১১ সাল একই সম্মাননায় ভুষিত হন। এ পর্য মুক্তিযুদ্ধ ও স্থানীয় সরকার বিষয়, নারী, পর্যটনসহ সমসাময়িক বিষয় ৩ হাজারের বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। শফিকুল ইসলাম খোকন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি লি. এর একজন নিয়োগকৃত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক এবং স্থানীয় সরকার বিষয় গবেষনা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক লোকাল গর্ভনেন্সের (সিডিএলজি) সদস্য। তাছাড়া ডেনমার্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ডেনিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস’ এর সহযাগীতায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডশন এর যৌথ উদ্যাগে বাংলাদেশের মৎস্য শিল্প টেকসই উন্নয়ন মৎস্য শ্রমিকদেরর জীবনমান ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষনার দায়িত্ব পালন করেছেন শফিকুল ইসলাম খোকন।

প্রান্তিক জনপদে থেকেও লেখালেখির পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমে অবদান রাখছেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জানি’, ‘আস্থা’ নাম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং নাগরিকদের অধিকার আদায়োর জন্য একটি প্লাটফর্ম ‘পাথরঘাটা উপজলা নাগরিক অধিকার ফোরাম’। যুক্ত রয়েছেন স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন ‘প্রত্যয়’ এর সাথে। পর্যটন স্পট হিসেবে সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের মধ্যে জেগে ওঠা একটি চর ‘বিহঙ্গদ্বীপ’ নাম করণের মধ্যে তিনি অন্যতম। ইতোমধ্যেই বিহঙ্গদ্বীপটি পর্যটকদর আকৃষ্ট করছে। এখনো তিনি বিহঙ্গদ্বীপটি পর্যটকপ্রিয় করার জন্য প্রশাসন, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং সুশীল সমাজের সাথে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তার লেখার মাধ্যমে অন্যতম পরিবর্তন এসেছে দীর্ঘ ২৭ বছরের ডাকসু নির্বাচন না হওয়া নিয়ে ‘ডাকসু নির্বাচন হয়না কেন?’এ শিরোনামে জাতীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর উচ্চাদালতের
নজরে আসলে মহামান্য হাইকোর্ট ৬ মাসের রুল দেন। পরে উচ্চাদালতের বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

জন্মদিন নিয়ে কথা হয় শফিকুল ইসলাম খোকনের সঙ্গে। তিনি কখনোই জন্মদিন পালন করননি। ভালাবাসেন নতুন চ্যালেঞ্জ। লিখতে চান এবং বলতে চান নিষিদ্ধ সব সত্যের অব্যক্ত যত গল্প। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ইস্যূ নিয়ে লিখছেন এবং নতুনত্ব নিয়ে লিখতে সব সময় পছন্দ করেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম খোকনের বাবা সিরাজুল হক মোল্লা, মা রিজিয়া বেগম। বাবা পাথরঘাটা পৌর শহরের একজন ব্যবসায়ী। বর্তমান অবসরে আছেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)