ইমরানকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক দেখতে চায় দক্ষিনাঞ্চলবাসী

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ৮ মে ২০১৮

ইমরানকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক দেখতে চায় দক্ষিনাঞ্চলবাসী
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
স্বাধীনতাসহ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বদাতা ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ১১-১২ মে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ পেরোনো পর এবারই প্রথম দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে।

সম্মেলনকে কেদ্র করে সভাপতি সেক্রটারীসহ বিভিন্ন পদে প্রার্থীরা ইতমধ্যেই লভিং গ্রুপিংয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন। কাঙ্খিত পদ পেতে প্রর্থীরা সমর্থকসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিকট জোর তদবীর চালাচ্ছেন।

গুঞ্জন রয়েছে এবারের শীর্ষ চারটি পদে (কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী অঞ্চল গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও বরাবরের মতো থাকছে বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের গুরুত্ব। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের দৌড়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন- কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সোহেল উদ্দীন, সহ-সম্পাদক জায়েদ বিন জলিল, স্কুল ছাত্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন, স্যার এ এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার। আলোচনায় আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ভূঁইয়া মো. ফয়েজউল্লাহ মানিকের নামও।

বরিশাল অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয়, কৃষি শিক্ষা সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, আপ্যায়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, প্রচার বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাইফুর রহমান সাইফ, সহ-সম্পাদক খাদেমুল বাশার জয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, উপ-কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফ আলী।

ফরিদপুর অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ শাহরিয়ার কবির, স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিজয় একাত্তর হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, কবি জসীম উদ্দীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, ঢাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরদার আরিফুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।

উত্তরবঙ্গ (রংপুর ও রাজশাহী) থেকে নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছেন- দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

এছাড়া খুলনা অঞ্চল থেকে শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি চৈতালী হাওলাদার চৈতি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাগর হোসেন সোহাগের নাম। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের নামও আসছে সামনে। সিলেট অঞ্চল থেকে ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খান রয়েছেন আলোচনা।

এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, পাঠাগার বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইবনে আহমেদ সুমন, স্কুলছাত্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক অসীম কুমার বৈদ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আপেল মাহমুদ, হাসান আহমেদ খান ও এম এম নাজমুল হাসানসহ কেন্দ্রের শীর্ষপদপ্রত্যাশী।

বলিশাল বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন পাথরঘাটার কৃতি সন্তান আরিফুজ্জামান আল ইমরান। ইতিমধ্যেই বরগুনা জেলাসহ বরিশালের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ছাত্রলীগের নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছনে এবং তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কাঙ্খিত পদে আসিন করার জন্য জোর দাবি চালাচ্ছেন। ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি শুধু পাথরঘাটাই নয়। বরিশাল বিভেিগর সকল নেতাকর্মীই আরিফুজ্জামান আল ইমরানকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।

আরিফুজ্জামান আল ইমরান এর জীবনী

আরিফুজ্জামান আল ইমরান ছাত্রজীবনে পাথরঘাটা কলেজে অধ্যায়ন কালে (২০০৮-১১সাল) পর্যন্ত পাথরঘাটা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালে (২০১৩-২০১৮ সাল) হাজী মহসিন হলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরিফুজ্জামান আল ইমরানের ভাই মো. আসাদুজ্জামান নাদিম ছাত্রজীবনের শুরুর দিকে (২০০৪ থেকে ২০…) পাথরঘাটা কলেজের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নম্বর যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক।

আরিফুজ্জামান আল ইমরানের বাবা মো. মতিউর রহমান, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কালমেঘা ইউনিয়নর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ এম বি। পি এন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)