ধর্ষনের পর তরুনী হত্যার শিকার করে নিলেও পরিচয় মেলেনি সেই তরুনীর

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০২:১৩ এএম, ১৮ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৫ এএম, ১৮ মে ২০১৮

ধর্ষনের পর তরুনী হত্যার শিকার করে নিলেও পরিচয় মেলেনি সেই তরুনীর
পাথরঘাটায় ধর্ষনের পর হত্যার শিকার তরুনীর পরিচয় ছয় মাসেও সনাক্ত হয়নি। এঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাসহ পাচ জনকে গ্রেফতার করলেও জরিত আরও একজনকে সনাক্তই করতে পারেনী পুলিশ। একারনে মামলার তদন্ত নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃস্টি হয়েছে।

থানা পুলিশ ও আদালতের দেওয়া জবান বন্দি তথ্য থেকে জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ হত্যার ঘটনায় পাথরঘাটা কলেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নেতাসহ ৬জন জরিত। ছাত্রলীগের এই ৪জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এ ছয়জন হলেন, পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল, সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, পাথরঘাটা কলেজ নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন ও সোহাগ নামের আরও একজন।

তবে এঘটনার ছয় মাসেও সোহাগের পরিচয় নিশ্চিৎ করতে পারেনি পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ এক নেতার একটি মটর সাইকেল ব্যাহৃত হলেও সেটি জব্দ করা হয়নি।

আদালত সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটার জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাহমুদুর রহমান।
এতে তারা জানান, ঘটনার দিন গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার মটর সাইকেলে করে সাদ্দাম হোসেন ও রুহি আনান দানিয়াল মেয়েটিকে কলেজের পেছনের পুকুরের ঘাটে নিয়ে আসে। পরে একটি মটর সাইকেলে করে মাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান ও সোহাগ আসেন। ছাত্রলীগের ৪নেতা প্রথমে ধর্ষন করে। পরে সোহাগও মেয়েটিকে ধর্ষণের চেস্টা করলে মেয়েটি লাথি মারে। এতে ছাত্রলীগের ৪ নেতা ও সোহাগ ক্ষুদ্ধ হন। ছাত্রলীগের এক নেতা লাথি মারলে মেয়েটি ঘাটের মেজেতে পরে চেতনা হারান। বিষয়টি জাহাঙ্গীর টের পেয়ে যান। আসামীরা জাহাঙ্গীরকে ভয় দেখিয়ে পুকুরের মধ্যে খুটি পুতে পরনের জামা ও ওড়না দিয়ে মেয়েটিকে বেধে ডুবিয়ে রেখে উপরে কলমি লতার গাছ ফেলে চলে যায়। গত ১০ আগস্ট খুটি বাধা অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ৯ থেকে ১০দিন আগে ঘটনা ঘটে বলে স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ জানায়, এঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে মামলা করে। ৩মাস পর গত ১০ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। জাহাঙ্গীর সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন অন্যরা কারাগাড়ে আছেন।

জানতে চাইলে প্রশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) উপজেলা সভাপতি ও আইনজীবী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির পরিচয় গত ৬ মাসেও বের করতে না পাড়ায় মানুষের মাজে বিরুপ ধারনার জন্ম নিচ্ছে। এঘটনায় সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা আসামী হওয়ায় এ ধারনা আরও পোক্ত হচ্ছে। প্রথম দিকে এমামলার অনেকটা অগ্রগতি হলেও কয়েক দফায় তদন্ত কর্মকর্তা বদল হওয়ায় তদন্তের গতি থেমে যাওয়ায় রহস্যের সৃস্টি হচ্ছে।

বর্তমান জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক বশির উদ্দিন মামলাটির তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, মামলার প্রায় ৮০ ভাগ তদন্ত গুছিয়ে আনা হয়েছে। তবে মেয়েটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। গোহাগকেও গ্রেফতার করা সম্বব হয়নি। তদন্তাধীন হওয়ায় মামলাটির ব্যাপারে এর বেশী বলা যাচ্ছে না।
সুত্রঃ প্রথম আলো । এ এম বি । পি এন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)