রয়েছে প্রায় অর্ধশত স্পটতালতলীতে মাদকে গ্রাস করছে যুব সমাজ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ২৭ মে ২০১৮

এই ছবিটি প্রতিকীতালতলী প্রতিনিধি
হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মরণ নেশা মাদক। মাদকের কালো থাবায় ভাসছে যুব সমাজ। তালতলী উপজেলায় রয়েছে মাদকের প্রায় অর্ধশত স্পট। এ স্পট গুলো রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও রাখাইন পাড়ায়।

সমুদ্র সৈকত শুভ সন্ধ্যা পিকনিক স্পট, ফাতরার বনের টেংরাগিরি ও রাখাইন পল্লীকে ঘিরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মাদকের নিরাপদ ট্রানজিট। এ উপজেলায় অর্ধশত’রও বেশী রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী। অল্প দিনেই তারা বিত্তবান হওয়ার আশায় অনেক শিক্ষিত তরুণ ও নারীরা এ পেশায় ঝুঁকছে। মরণ নেশা গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের নেশায় সয়লাব এ উপজেলা। এসব মাদকের বিষক্ত ছোবলে শত শত শিক্ষিত তরুণ ও বয়স্কদের জীবন বিপন্ন। মাদকের টাকার সংগ্রহে যুব সমাজ জড়িয়ে পরেছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই মাদকসহ ২-৪জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করছে। পুলিশ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলেও তা পারছে না।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলার তালতলী শহর, কচুপাত্রা বাজার, ছোটবগী বাজার, গাবতলী, চরপাড়া, নয়া ভাইজোড়া, হরিনবাড়িয়া, কড়াইবাড়িয়া, ঝাড়াখালী, চাউলাপাড়া, আঙ্গারপাড়া, তালুকদারপাড়া, আগাঠাকুরপাড়া, লাউপাড়া, সকিনা, ফকিরহাট, ছাতনপাড়া, নিউপাড়া, শানুর বাজার, বেহালা, ফকির হাট, তেতুলবাড়ীয়া, জয়ালভাঙ্গা, পচাঁকোড়ালিয়া সুলিজ বাজার, পচাঁকোড়ালিয়া মধ্য বাজারসহ বিভিন্ন রাখাইন পাড়ায় হাত বাড়ালে মিলে মাদক।

এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ সড়ক হিসেবে বেছে নিয়েছেন সমুদ্র সৈকত শুভ সন্ধ্যা পিকনিক স্পট, ফাতরার বনের টেংরাগিরি এলাকাকে। অবাধে মিয়ানমার থেকে সাগর পথে এ এলাকায় মাদক আসে। সাগর পথে প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদে মাদক নিয়ে আসতে পারে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলায় ১০ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এরা মাদক ব্যবসার সাথে ওতপ্রেতভাবে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরা হলো উপজেলার তালুকদারপাড়া রাখাইন খেচাং, তালতলী পাড়ার ছগির, শারিকখালী বাদুরগাছার ইলিয়াস, নিদ্রারচরের অলিউল্লাহ, ঠংপাড়ার ছগির হোসেন, রুবেল ও আবুল হোসেন, ছোটবগী চরপাড়ার জলিল, ছোটবগী বাজারের সোহাগ এবং তালতলী বন্দরের রাজু মিয়া। এদের মধ্যে নিদ্রারচরের অলিউল্লাহ এখনও জেলহাজতে রয়েছে। বাকীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তারা জামিনে আছেন।

তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র জানান, মাদকের বিরুদ্ধে তালতলী থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স। গত এক বছরে ৪৫ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়েছি।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজবী-উল-কবির জোমাদ্দার বলেন, আগামী প্রজন্মের অহংকার যুব সমাজ। মাদকের করাল গ্রাসে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ যুব সমাজকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সাধুবাদ জানাই। যুব সমাজকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপই বাস্তব সম্মত।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৭ মে

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)