বরগুনা জেলা কোন কারনে ও কেন বিখ্যাত ?

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | আপডেট: ০১:১৩ এএম, ২৮ মে ২০১৯

বরগুনা জেলা কোন কারনে ও কেন বিখ্যাত ?
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট। ১৯৬৯ সালে বরগুনা পটুয়াখালী জেলার অধীনে একটি মহকুমা হয় । ১৯৮৪ সালে দেশের প্রায় সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে বরগুনা জেলায় পরিণত হয়।

বরগুনা জেলা কেন বিখ্যাতঃ

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা কিছু না কিছুর জন্য বিখ্যাত। তেমনি বরগুনা জেলা বিখ্যাত তার অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। নারিকেল ও সুপারি ও মাছের জন্য বরগুনা জেলা বিখ্যাত। তার সাথে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের অংশ।

বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

হরিণঘাটার বন বা লালদিয়ার চরঃ

একদিকে বিস্তীর্ণ সাগরের হাতছানি আর অন্যদিকে অকৃত্রিম বনের মাঝে ছড়িয়ে থাকা সবুজের সমারোহ যাদের মুগ্ধ করে তাদের জন্য এই দেশের মাঝেই বেড়ানোর চমত্কার একটি স্থান হতে পারে হরিণঘাটা। বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ প্রান্তে বরগুনা জেলায় অবস্থিত এই হরিণঘাটায় এসে একদিকে যেমন উপভোগ করা যায় সাগরের মাঝে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য, তেমনি দেখা মেলে নানা প্রজাতির গাছের সমারোহে গড়ে ওঠা সবুজ নিসর্গ আর হরেক রকম বণ্যপ্রাণীরও। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা সদর তালতলী থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে হরিণঘাটা বাজারের পাশ থেকেই এই বনের শুরু। স্থানীয়দের কাছে দীর্ঘদিন ধরে হরিণঘাটার এই বন ফাতরার বন নামে পরিচিত হলেও ২০১০ সালে বনবিভাগের আমতলী রেঞ্জের টেংরাগিরি (সখিনা) বিটের এ জায়গাটিকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে এর নাম দেওয়া হয় টেংরাগিরি বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এ বনের পূর্ব দিকে রয়েছে কুয়াকাটা, পশ্চিমে সুন্দরবন, উত্তর পাশে রাখাইনদের বেশ কিছু বসতি এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।

ঐতিহাসিক বিবিচিনি শাহী মসজিদঃ

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিঃমিঃ দূরে বিবিচিনি ইউনিয়নে এই মসজিদটি অবস্থিত । এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনায় জানা যায়, ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ (রঃ) পারস্য থেকে এই এলাকায় ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এসে বিবিচিনিতে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।তাঁর কন্যা চিনিবিবি এবং ইসাবিবির নামানুসারে বিবিচিনি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে এবং মসজিদটির নাম রাখা হয়ছে বিবিচিনি শাহী মসজিদ। জানা যায়, সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ্ (র:) পরলোকগমন করেন এবং মসজিদের পার্শ্বে তাকে সমাহিত করা হয় । উল্লেখ্য প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর কর্তৃক মসজিদটি তালিকাভূক্ত করে এর সংস্কার করা হয়েছে ।

লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকতঃ

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে লালদিয়ার বন। এ বনের পূর্বে বিশখালী নদী এবং পশ্চিমে বলেশ্বর নদী । দুই নদী ও সাগরের মোহনা এ বনকে ঘিরে রেখেছে । বন সংলগ্ন পূর্ব প্রান্তে সমুদ্র সৈকত । এখানে বিভিন্ন রকমের পাখির কলকাকলি এবং সমুদ্রের গর্জন শুনে পর্যটকরা হবেন বিমোহিত এবং ফিরে আসবেন বারে বারে।

পাথরঘাটা বি এফ ডি সিঃ
পাথরঘাটার বিএফ ডিসি মৎস্য মার্কেট বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় মাছের বাজার হিসেবে ক্ষ্যাতি লাভ করেছে যেখানে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ ক্রয় বিক্রয় হয়
এ ছাড়াও এখান থেকে প্রায় দক্ষিণ অঞ্চলের সব মিলিয়ে
গড় অনুযায়ী দেড় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সাথে জড়িত।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)