বরগুনাগামী লঞ্চে কেবিন না পেয়ে ইনচার্জের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১ মে ২০১৯

ছবিঃ সংগ্রহীতঢাকা থেকে বরগুয়ানার উদ্দেশ্যে ছেরে আসা লঞ্চে স্টাফ কেবিন নেয়ার পর খালি কেবিন দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বরগুনার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে কেবিন ইনচার্জের মাথায় পিস্তল ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ত্যাগ করার পর রাত ৮টার দিকে বরিশালগামী এমভি পূবালী-১ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। তবে কেবিন নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে জানিয়ে কেবিন ইনচার্জের মাথায় পিস্তল ধরার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যাত্রী মজিবুর রহমান মোল্লা।

তিনি বরগুনা পৌরসভার চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা এবং বরগুনা রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।

পূবালী-১ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ মো. মনির বলেন, লঞ্চ ছাড়ার অনেক আগেই লঞ্চের সব কেবিন ভাড়া হয়ে যাওয়ায় মজিবুর রহমান মোল্লা একটি স্টাফ কেবিন ভাড়া নেন। লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ছেড়ে দিলে দুটি বেড বিশিষ্ট লঞ্চের ২০১ নম্বর কেবিনের নয়ন নামে এক যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারেননি। এ কারণে কেবিনটির ভাড়া বাতিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ওই কেবিনটি খালি হওয়ার প্রকৃত বিষয় না জেনে লঞ্চে যাত্রী কেবিন খালি আছে জেনেই মজিবুর রহমান আমাকে ডেকে এনে আমার উপর চড়াও হন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালাগালি করার পাশাপাশি আমার মাথায় পিস্তল ধরেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লঞ্চের কর্মীসহ যাত্রীরা তাকে নিবৃত করেন।

এ বিষয়ে মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, লঞ্চে বুকিং বিহীন যাত্রী কেবিন থাকা সত্ত্বেও কেবিন ইনচার্জ আমাকে কেবিন খালি না থাকার কথা জানান। এ কারণে আমি স্টাফ কেবিন নিতে বাধ্য হই। কিন্তু যখন আমি বুঝতে পারি সকল স্টাফ কেবিন বুকিং সম্পন্ন হলেই যাত্রী কেবিন ভাড়া দেয়া হবে, তখন আমি কেবিন ইনচার্জকে বকাঝকা করেছি।

কেবিন ইনচার্জের মাথায় পিস্তল ধরার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিজের নিরাপত্তার জন্য লাইসেন্স করা পিস্তলটি সবসময় আমার সঙ্গেই থাকে। কেবিন ইনচার্জকে বকাঝকা করারর সময়ও পিস্তলটি আমার সঙ্গেই ছিল। তবে পিস্তলটি আমি বেরই করিনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)