গলাচিপায় অপহরণের ১২ দিন পর কিশোরী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৩২ এএম, ১৯ মে ২০১৯

গলাচিপায় অপহরণের ১২ দিন পর কিশোরী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রাম থেকে অপহরণের ১২ দিন পর পুলিশ অপহৃতা এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার রাতে গলাচিপা পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শনিবার থানায় নিয়ে এসেছে। পুলিশ একই সঙ্গে অপহরণকারী চক্রের এক আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

থানায় দায়ের করা মামলায় ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে (১৬) এবার এসএসসি পাস করেছে। গত ৫ মে সন্ধ্যায় তার মেয়ে এক আত্মীয় বাড়ি যাচ্ছিল। অপহরণকারীরা তার বাড়ির পেছনের রাস্তা থেকে মেয়েকে অপহরণ করে। এ সময় মেয়ে চিৎকার দিলে অপহরণকারীরা তার মেয়ের মুখে কাপড় গুজে দেয় এবং মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় আমখোলা ইউনিয়নের দড়িবাহেরচর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মৃধার ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম তারেক মৃধা, তার ভাই শাহিন মৃধা, ভাংরা গ্রামের রুহুল আমিন সিকদারের ছেলে আল আমিন সিকদার, আলগী তাফালবাড়িয়া গ্রামের সত্তার মাস্টারের ছেলে হারুন অর রশিদ ও রাজ্জাক মৃধার ছেলে লাভলু মৃধাকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এদের মধ্যে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শীর্ষ অপহরণকারী তরিকুল ইসলাম তারেক মৃধা (২২) দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা একজোট হয়ে এ অপহরণের ঘটনা ঘটায়।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, অপহৃতার বয়স নির্ধারণ ও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য আগামীকাল চিকিৎসক বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ২২ ধারায় কিশোরীর জবাবনবন্দী গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধান আসামি সরকারি চাকরি করে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)