আমতলীতে কলেজছাত্রী মালা হত্যায় এক জনের ফাসি, আইনজীবীর যাবজ্জীবন (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ | আপডেট: ০৬:৫৮ পিএম, ২৬ জানুয়ারী ২০২০


বরগুনার আমতলীতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে সাত টুকরা করে হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক আইনজীবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ওই আইনজীবীর সহকারীকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি আলমগীর হোসেন পলাশ ও কলেজছাত্রীর মামাতো ভগ্নিপতি। সে পটুয়াখালীর সুবিদখালী উপজেলার লতিফ খানের ছেলে। অন্যদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাশের ভাগনে জামাই আইনজীবী মাঈনুল আহসান বিপ্লব। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আইনজীবী পলাশের সহকারী রিয়াজ। এ মামলায় আইনজীবী পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করে আসামিরা। পরে লাশ সাত টুকরা করে দুটি ড্রামে রাখে তারা। খবর পেয়ে বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ড্রামভর্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাসা থেকে পলাশকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বিপ্লব এবং পলাশের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়।

বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মো: মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, কলেজছাত্রী ধর্ষণ, হত্যা এবং লাশ লুকানোর দায়ে পলাশকে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। একই অপরাধে আইনজীবী বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তার সহকারী রিয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানকে খালাস দেয়া হয়।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)