বিএনপি থেকে সরে যাবেন ফখরুল ??

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:৪০ এএম, ২২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০১:৩৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
অনলাইন ডেস্কঃ বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা। আন্দোলনের জন্য কর্মীদের চাপ। সিনিয়র নেতাদের অসহযোগিতা- সবকিছু মিলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে দলের সিনিয়র নেতাদের ডেকেছিলেন ফখরুল। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে একটু শলাপরামর্শ করবেন। বিকেল চারটায় সবাইকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এক ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ছাড়া কেউই আসেনি। ক্ষুব্ধ বিএনপি মহাসচিব বললে, ‘সবাই এরকম করলে আমিই পদত্যাগ করবো।‘

এর আগে মঙ্গলবার আইনজীবীদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু সব আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনের অজুহাতে বসতে অস্বীকৃতি জানান। কাউকে না পেয়ে তিনিই ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগের ঘোষণা দেন। প্রতিদিনই তিনি বলছেন, `কেউ আমাকে মানছে না। কেউ আমার কথা শুনছে না’

দলের সিনিয়র নেতা, বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই মির্জা ফখরুলের। একমাত্র ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। প্রকাশ্যে তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিলেও, ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ, মির্জা আব্বাসের মতো সিনিয়র নেতারা দায়সারা। তাঁরা বক্তৃতা বিবৃতি এবং অনুষ্ঠান, কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে আসছেন। মির্জা ফখরুল তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠদের বলেছেন ‘সবাই মিলে যদি আমরা কাজ করতাম তাহলে অন্তত সরকারকে একটা বার্তা দেওয়া যেত। সরকারের একটু হলেও টনক নড়ানো যেত। কিন্তু এখন এসব কিছু করা যাচ্ছে না। সবাই দায়সারা।’ দুদিন আগে , এক সংবাদ সম্মেলনের আগে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মির্জা ফখরুলের। উত্তেজনার এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন ‘ আপনারাই চালান বিএনপি, আমি যাই।’

ইদানীং প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন বিএনপি মহাসচিব। এমনকি বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে দুই দফা বৈঠকের তারিখ দিয়েও তা বাতিল করা হয়। মির্জা ফখরুল নিজে যোগাযোগ করেন অন্তত তিনটি অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে। তিনজনই বিএনপি মহাসচিবকে বলেছেন, আমাদের সঙ্গে ভাইয়ার যোগাযোগ আছে। তাই নতুন করে বসার দরকার নেই।’

এভাবে ক্রমশ চাপে, হতাশায় দিশেহারা ফখরুল। দলের ভেতরেও তাঁকে নিয়ে সন্দেহ, অবিশ্বাস বাড়ছে। তাঁকে দেখলে দূর থেকে কর্মীরা ইদানীং টিকা টিপ্পনী কাটে। কেউ কেউ শুনিয়ে শুনিয়ে তাঁকে ‘দালালও’ বলে। বেগম জিয়ার গ্রেপ্তারের দেড় মাসের মাথায় ভেতরে বাহিরে কোণঠাসা ফখরুল। এই কোণঠাসা থেকে কি তিনি জিয়া পরিবারের ছাতার বাহিরে একক নেতৃত্বে উদ্ভাসিত হতে পারবেন? নাকি রাগের মাথায় যা এখন প্রায়ই বলছেন, ‘পদত্যাগ’ করবেন? সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে, বিএনপি মহাসচিবের সামনের দিনগুলো যে আরও বিপদ সংকুল। তা কোনো গবেষণা ছাড়াই বলা যায়।
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)