পাথরঘাটায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বাবা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম, যুবককে ৩৮ বছরের কারাদণ্ড!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ২১ জানুয়ারী ২০২১

পাথরঘাটা
বরগুনার পাথঘাটায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ব্যর্থ হয়ে বাবা ও মেয়েকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক যুবককে তিনটি অপরাধে ৩৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে বরগুনার আদালত।

আজ দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হল, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ইয়াসিন (২২) রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদী আবুল কালাম পাথরঘাটা থানায় ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর ভাগিনী পাথরঘাটা বারী আজাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে মানবিক শাখায় পড়াশুনা করে। আসামি ইয়াছিন বাদীর ভাগিনীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত সহ বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বাদীর বোন দেলোয়ার বেগম তার খালা জাহানারা বেগমের অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টায় সেখানে যায়।

রাতে বাদীর ভাগিনী তার বসত ঘরে বারান্দার ঘুমায়। রাত অনুমান দুইটায় আসামি ইয়াছিন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে সংগোপনে স্কুল ছাত্রীর বাবা চান মিয়ার বসত ঘরের পূর্ব পাশের দরজার দক্ষিণ পাশে জালানার লোহার সিক কৌশলে খুলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষেণর চেষ্টা করে।

পাথরঘাটা থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়। রাষ্ট্র পক্ষের এপিপি আশ্রাফুল আলম বলেন, একটি জঘন্য মামলায় তিনটি ধারায় ইয়াসিনকে ৩৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে সাজা ভোগ করলে ১৪ বছর কারাভোগ করলেই হবে। তিনি বলেন, রাতের আধারে গোপনে ঘরে প্রবেশ করায় ১৪ বছর, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ বছর ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সাজা ভোগ করলে ১৪ বছর কারাভোগ করলে সাজা শেষ হবে।

এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী আক্তারুজ্জামান বাবুল বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)