বরগুনার জঙ্গি অস্ত্রসহ বরিশালে গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৮

আটক আব্দুল্লাহ আল মিরাজবরিশাল কোতয়ালী থানাধীন দরগাবাড়ি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সাইফুলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮।

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।

জানা যায়, বরিশালের কোতয়ালী থানাধীন দরগাবাড়ি রোড এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য মিরাজকে আটক করা হয়।

আব্দুল্লাহ আল মিরাজ বরগুনা জেলার মনশাতলী গ্রামে ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।

এ তার কাছ থেকে কাছ থেকে একটি পিস্তল, ০২টি খালি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ১৫টি ইলেকট্রিক সার্কিট, ১টি তাতাল, ২টি হেক্সো ব্লেড, ১৬টি জিহাদী বই, ১টি সিডি, ১টি টেবিল ঘড়ি, ১টি মোবাইল, ২টি জিহাদী পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন প্রকার ইলেট্রিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বরগুনা জেলার রফাচন্ডী মাদ্রাসা থেকে ২০০৬ সালে দাখিল পাস করেন। এরপর ইলেকট্রনিক্স কাজ শেখার জন্য বরগুনা সদররের একটি দোকানে কাজ করার সময় জসীম উদ্দিন রহমানীর বক্তব্য ওয়াজ শুনে জিহাদে উদ্ধুদ্ধ হয়। এসময় তার সাথে আতিকুর রহমান ওরফে বাবু ওরফে শাওন (২৪), নাজমুল ওরফে উকিল ওরফে রেশান, তরিকুল ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুল সাকিব, আলামিন ওরফে হাসান ওরফে আলমগীর, আল আমিন ওরফে রাজীব ওরফে আজিজুলসহ আরো কয়েকজন সমমনোভাবাপন্ন লোকের সাথে পরিচিত হন এবং ধীরে ধীরে এদের সাথে ঘনিষ্ট হন।

এক পর্যায়ে ২০১২ সালে মনিরের সাথে জসিম উদ্দিন রহমানীর সাথে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন মিরাজ। জামিনে আসার পর বেশ কিছুদিন বাড়িতে অবস্থান করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ আরো জানান, এরপর ২০১৪ সালে থেকে তার সাথে আবার নাজমুল, তারিকুল, সবুজসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। ওই সময় থেকে মিরাজ আরো অনেকের সাথে বিভিন্ন স্থানে গোপনে বৈঠক করে এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা সশস্ত্র উগ্রবাদে উদ্ভুদ্ধ হন। নাজমুল ওরফে উকিলের নির্দেশে মিরাজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং নিজ বাড়ী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝে মাঝে অবস্থান করতেন।

আটককৃত মিরাজ সার্কিট বানাতে পারদর্শী বলে জানা যায়। মিরাজ মোবাইলফোনে একাধিক সিমের মাধ্যমে তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করতেন। তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে মোবাইলে মিরাজ সিম ব্যবহার করতেন না। সহযোগীদের সাথে দেখা করার জন্য মিরাজ মাঝে মাঝে নির্দেশিত স্থানে গিয়ে দেখা করতেন বলে জানায়।
র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক আতিকা রহমান জানিয়েছেন, আটককৃত জঙ্গীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩১ আগস্ট

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)