বরগুনায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দফারফার চেষ্টা (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৪০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দফারফার চেষ্টাবরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের আজগর কাঠি গ্রামের ওয়ারেচ হাওলাদারের ছেলে আল-আমিনের বিরুদ্ধে একই এলাকার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

আল-আমিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ভাগনে।

খোজ জানা গেছে, আজকরকাঠি গ্রামের ঐ শিক্ষার্থীর মা ঘরের মধ্যেই একটি জামাকাপড় সেলাইয়ের দোকান পরিচালনা করেন। শুক্রবার সকালে এক নিকটাত্মীয়কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঐ শিক্ষার্থীর মা বরগুনা আসেন। এসময় বাড়িতে ঐ শিক্ষার্থী ও তার ছোট ভাই ছিলো। দুপুরের দিকে আল-আমিন সেখানে প্যান্ট সেলাইয়ের অজুহাতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় তখন শিক্ষার্থী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে ধর্ষণ করে আল-আমিন। এসময় ঐ শিক্ষার্থী ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির উঠোনে থাকা তার ছোট ভাই ও স্থানীয় এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে আল-আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ঔ শিক্ষার্থীর মা বাড়িতে আসলে তাকে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই আল-আমিনের মামা নলটোনা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ও বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বিষয়টি শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক সম্ভব না হলেও ফোনে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, এঘটনাটি মিথ্য। গতকালকে আমি বরিশালে ছিলাম টেলিফোনে কথা হয়েছে। শোনার সাথে সাথে আমি চৌকিদার ও মেম্বরদের ওই ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।

বরগুনা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিকো শীল জানান, ঐ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ধর্ষণের আলামত রয়েছে।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, ব্যস্ততার অজুহাতে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলে মুঠোফোনে জানান, নারী পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ধর্ষণের কোন আলামত পায়নি পুলিশ । তবে ধর্ষণ চেষ্টা হয়েছিলো বলেও জানান তিনি। লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)