বামনায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮

মো. সাব্বির হোসেনবামনায় ডা. আবদুস সত্তার খান নূরানী তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে অমানবিক ভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আবির হোসেনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মো. সাব্বির হোসেন (৮)। সে উপজেলার দক্ষিন রামনা গ্রামের আ. রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে গুরুতর আহত ওই শিশুটিকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বামনা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটির পরিবারটি।

শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির হোসেন জানায়, কয়েকদিন পূর্বে ওই শিক্ষক ক্লাশে পড়া না পারার তাকে বেধরক পেটায়। তার পর থেকে দুইদিন সে মাদ্রাসায় যায়নি। গত বৃহস্পতিবার রামনা বৈকালীন বাজারে আসলে তাকে শিক্ষক আবির মাদ্রায় জোড় পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে হাতপা বেঁধে ফেলে। পড়ে তার মুখে গামছা বেঁধে বেধরক পেটায়। এই ঘটনা পার্শ্ববর্তী লোকজন টেরপেয়ে তার মাকে খবর দেয়। পরে তার মা সেখানে গিয়ে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ওই দিন রাতে স্থানীয় আর.এন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।

নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বিরের বাবা রুহুল আমীন জানায়, তার ছেলেকে মাদ্রাসার ভিতর আটকে রেখে নির্যাতন করেছে শিক্ষক আবির হোসেন। এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার থেকে তার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওই মাদ্রাসা ও পরিচালনাবোর্ডে কেউ তার ছেলেকে দেখতেও আসেনি। তার ছেলের উপর এই নির্যাতনে বিচার দাবী করছেন তিনি।

এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তার সাথে কথা বলার জন্য ওই মাদ্রাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক ডা. আ. লতিফ জানায়, আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে পর্যাপ্ত খরচ দেওয়া হয়েছে।

রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এই ঘটনাটি মার্মান্তিক। শিশুটিকে এভাবে পেটানো উচিৎ হয়নি।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২১ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)