বরগুনায় যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার জামিন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতবরগুনায় শামীম ইমতিয়াজ বাদশাহ নামের এক যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: সিদ্দিকুর রহমান।

উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় জামিনের জন্য বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: হাসানুল ইসলামের আদালতে সোমবার জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

জামিন শুনানির সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকুর রহমানের ভায়রা বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সিদ্দিকুর রহমানসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারি করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসির আরাফাত।

এ সময় আসামিপক্ষের জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব এবং অ্যাডভোকেট
আবদুর রহমান নান্টু প্রমুখ।

এ বিষয়ে নিহত যুবলীগ কর্মী বাদশাহর বাবা ও এ মামলার বাদি সোহরাব মৃধা বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান হত্যার নির্দেশদাতার জামিনের খবর আমরা শুনেছি। এতে আমরা হতাশ হয়েছি। তারপরও আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।’

আসামির স্বজনরা তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে বাদশাহর বাবা বলেন, ‘আমি আমার ছেলের ন্যায় বিচারের প্রতিক্ষায় আছি। দ্রুততম সময়ে আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, ‘আমাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সিদ্দিকুর রহমানের ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে বুড়িরচর ইউনিয়নে কামরাবাদ এলাকায় যুবলীগ কর্মী শামীম ইমতিয়াজ বাদশাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন ৯ জানুয়ারি নিহত বাদশার বাবা সোহরাব মৃধা ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুড়িরচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এ মামলার চার নম্বর আসামি মো: রাকিব।

পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৭ জানুয়ারি বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)