জমি ভোগ দখলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসপাতালে রোগীকে মারধর

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ১৭ মে ২০১৯

জমি ভোগ দখলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসপাতালে রোগীকে মারধর
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসকের হাতে রোগীর ছেলেকে মারধরের ঘটনার রেশ কাটার আগেই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ঢুকে ইউপি সদস্য বাদল একই পরিবারের তিনজনকে ঝাড়ু দিয়ে মারধরের একটি ভিডিও ফের সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বাদল পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের খাসতবক গ্রামের হোচেন হাওলাদারের ছেলে ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

বুধবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন, কাকচিড়া ইউনিয়নের খাসতবক গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে নেছার উদ্দিন (৬৫), আবুল কালাম আজাদ (৫৩) ও তাদের মা ছালেহা বেগম।

সরেজমিনে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে ও ভিডিও থেকে জানা গেছে, বুধবার (৯ মে) পাশ্ববতী লোকের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ হলে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটানা ঘটে। এর পরে তারা ওই দিনই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি দেন। সেই থেকেই তারা হাসপাতালে থাকেন। পরে ভিডিওতে দেখা গেছে ওই ইউপি সদস্য বাদল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে একটি ঝাড়– দিয়ে নেছার উদ্দিন, আবুল কালামকে বেধম পিটাচ্ছে। তাদের মা ছালেহা বেগম ওই মারধর থামাতে গেলে তাকেও মারধর করে বলে জানান তারা।

আহত মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদল মেম্বর অনেক আগে থেকেই আমার বাবার জমি ভোগ দখল করতে চায়। গতকাল সে এক রোগী দেখতে হাসপাতালে আসে। এসময় আমাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর কিছু পরেই সে ৩ থেকে ৪জন লোক নিয়ে এসে আমাদের ঝাড়– দিয়ে বেধম মারধর করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাদল মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো তারাই আমাকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। আমাকে চরমভাবে অপমানিত করেছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের এসআই গাজী মাহতাব উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার অসুস্থ মাকে ফ্লোর থেকে হাসপাতালের বেডে তোলায় জিলানী নামে এক যুবককে মারধর করেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনোয়ার উল্ল্যাহ। পরে কেউ একজন ওই মারধরের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে সেটিও ভাইরাল হয়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)